নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা। আমরা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সম্মান জানাই যারা যুদ্ধ ও শান্তির সময়ে দেশের সেবা করেছেন এবং করে চলেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের সাহসী আত্মত্যাগের ঋণ আমরা কখনোই শোধ করতে পারব না। যারা মুক্তিযুদ্ধে তাদের জীবন হারিয়েছেন এবং যারা শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেসব বীর সেনানী এবং তাদের পরিবারের সদস্য এবং প্রিয়জনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
“১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি। ২১ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি এদেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। দেশের যেকোন সংকট ও দূর্যোগের সময় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা ও ভাবমূর্তি ইতিবাচক। বিশেষ করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হিসাবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। করোনাকালীন সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বটবৃক্ষর মতো। সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করেন এনডিপির নেতৃবৃন্দ”
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাতে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ এবং ইপিআরের বাঙালি সদস্যসরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় এবং তাদের অনেকেই সেদিন সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা সামরিক চাকরির নিরাপদ জীবন ত্যাগ করে দেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিবাহিনীতে যোগদান করেন। যুদ্ধক্ষেত্রে সামনের সারিতে লড়াইয়ের পাশাপাশি মুজিব নগর সরকারকে সহায়তা, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত ছিলেন তারা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর জন্ম ১৯৭১ সালের যুদ্ধক্ষেত্রে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করে। এই যৌথ অভিযানটি ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহে সংঘটিত সম্মিলিত বাহিনীর (মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী) অপারেশনেরও ভিত্তিপ্রস্তর ছিল, যা ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ে পরিণত হয়। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। মুক্তিযুদ্ধে তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সাত সদস্যকে সর্বোচ্চ বীরত্বপূর্ণ বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেওয়া হয়। সশস্ত্র বাহিনীর ৫৮ জনকে বীর উত্তম, ১৩৪ জনকে বীর বিক্রম এবং ১৭৮ জনকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়া হয়।আমরা মহান বীরত্বের বীর মুক্তিযোদ্ধা সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সন্মান জানাচ্ছি।
Leave a Reply