মোঃ আব্দুল খালেক
(জেলা প্রতিনিধি):

মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু ওয়ালাইহি ওয়াসাললাম উপলক্ষে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৮ শে অক্টোবর ২০২৩ শনিবার বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ এর পক্ষ থেকে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয় উক্ত সমাবেশে প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ এর সভাপতি আল্লামা হূসামউদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী
এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম মনোওর আলী মহাসচিব বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ এবং আরো
উপস্থিত ছিলেন
প্রফেসর ড. মোঃ রইছ উদ্দিন ডিন কলা অনুষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা উপস্থিত ছিলেন মুফতি মওঃ মোহাম্মদ ওসমান গনি সালেহী প্রধান ফকিহ দারুন নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা ঢাকা উক্ত সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মাওঃ মুফতি মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম সভাপতি আল ইসলাহ মৌলভীবাজার
এবং সঞ্চালনায় হাফিজ মাওঃ মোঃ এনামুল হক সাধারণ সম্পাদক এছাড়া জেলা উপজেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা হুসামউদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী উনি বলেন
আল্লাহর রাসূল (সা.) এর আজিম শান ও মানের আলোচনায় মুসলমানদের ঈমান তাজা হয়। ঈমানের মূলই হচ্ছেন নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। প্রত্যেক নবীরই মিলাদ আছে এবং অনেক নবী নবী হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছেন। রাসূলের জন্ম আর সকলের মত ছিল না। তিনি সম্পূর্ণ পূতঃপবিত্রভাবে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর জন্মের সুসংবাদ পূর্ববর্তী সকল আসমানী কিতাবে দেওয়া হয়েছে।তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেউ যদি ৪০ বছর পর থেকে শুধু সিরাতকে গুরুত্ব দেন তাহলে নবীর জন্মের সময় কাবার মূর্তিগুলো উপুড় হয়ে সিজদারনত হয়েছিল। পারস্যে জ্বলতে থাকা হাজার বছরের আগুন ধপ করে নিভে গিয়েছিল এগুলোকে কোথায় স্থান দিবেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিয মাওলানা এনামুল হকের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ, মাওলানা এ.কে এম মনোওর আলী, দারুন নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার প্রধান ফকিহ মুফতি মাওলানা ওসমান গনি সালেহী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব মাওলানা এ.কে.এম মনোওর আলী বলেন, যাদের অন্তর নবী প্রেমে ভরপুর হয় তারাই ঈদে মিলাদুন্নবী সা. পালন করতে পারে। যাদের অন্তর খারাপ, যারা মুনাফিকিতে লিপ্ত থাকে, ঈদে মিলাদুন্নবীর নাম শুনলে তাদের চেহারা মলিন হয়। আমরা বর্তমানে নাজুক সময়ে বসবাস করছি। আমাদের ঈমান, ইসলাম ও আল্লাহর হাবিবকে নিয়ে হীন অপচেষ্টা চলছে। আমাদেরকে ঈমান ও ইসলাম থেকে দূরে সরানোর জন্য সেই ইহুদি চক্রান্ত শুধু ফিলিস্তিনে নয়, বাংলাদেশেও বিরাজমান। বিভিন্নভাবে সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সভায় বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, আলহাজ এখলাছুর রহমান, আলহাজ বখতিয়ার হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা আল ইসলাহর সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল আলিম, সহ সভাপতি মুহাদ্দিস মাওলানা মুহিবুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান মাদানী, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ ইউনুস আলী, মাওলানা ইসহাক আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশির আহমদ, সহ সাংগঠনকি সম্পাদক মাওলানা শামসুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন, মাওলান ফয়জুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা শফিকুল আলম সুহেল, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মাসুক, অফিস সম্পাদক মাওলানা ওহিদুজ্জামান, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, জেলা তালামীযের সভাপতি আলী রাব্বি রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির খান।
প্রথম অধিবেশনে সকাল ১১ ঘটিকায় মাও. নজরুল ইসলামের কোরআন তেলাওয়াত ও মাও. লোকমান খান নবীন এর নাতে পরিবেশনায়
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাজী কবির আহমদ তালুকদার, মাওলানা সৈয়দ মুহিত উদ্দিন, মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাস্টার নাজিম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল লতিফ, কাজী মাওলানা ফখরুল ইসলাম শিপলু বখশ, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস নিজামী, শামসুদ্দোহা খান, মাওলানা হাফিজুর রহমান, শাহ জলিল প্রমুখ।এছাড়া বক্তব্য রাখেন আরো অনেকেই