1. info@www.thedailynews.online : The Daily News :
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সিলেট থেকে ঢাকা রুটে চালু হচ্ছে আন্তনগর ট্রেন “টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস” রাজনগরের কেশর পাড়ায় বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল আরোহীর ধাক্কা লেগে এক স্কুল ছাত্র মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার সাংবাদিক মোঃ আব্দুল মোমিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। কবিতা: জীবন যুদ্ধ -৪ সপ্তম বর্ষে ‘দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা’ বর্ণিল আয়োজনে ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন আজ সমকালীন কবিতার রাজপুত্র স্টালিন শুভ’র জন্মদিন সশস্ত্র বাহিনী: শান্তি ও স্বাধীনতা রক্ষায় সর্বদা নিবেদিত: এনডিপি সিলেট জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে পর্যটক আধ্যাত্মিক নগরীর গল্প। কালিয়াকৈর উপজেলার ৬নং সূত্রাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠনে আলোচনা সভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার ক্যামেরা: মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু:

আজকে এমন একটি মানুষের কথা বলব যিনি কিনা এই বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ,অতন্ত প্রহরী হয়ে। তিনি আর কেউ নন আমাদের অতি আপনজন ও প্রিয়জন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পছন্দের ফটো সাংবাদিক। সেই সুবাদে বঙ্গবন্ধু পরিবারে বাবার সঙ্গে ছোটবেলায় বেশ কয়েকবার ৩২নংএ গিয়েছি বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি,তেমনি খুব কাছ থেকে দেখেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে।
বাবার ক্যামেরায় ছবি তোলার সাথে আমারও বেড়ে ওঠা।এ হৃদ্যতার সুবাদে আমাকে অনেকটাই সতর্কতা এবং সহনশীল হয়ে কাজ করতে হয়। আমিও পথে মাঠে-ঘাটে ছুটে বেড়াই এদেশে আপামর জনগণের খেদমতে।
১৯৯৬ নির্বাচনের সময় আমার সৌভাগ্য হয়েছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার অনেক দুর্লভ ছবি তোলার, প্রশংসিত হয়েছি। এছাড়াও জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আমার বাবার তোলা ছবি নিয়ে একটি অ্যালবাম করার সুযোগ আমার হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছিলেন। সেই অ্যালবাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেছেন। নাটোর জেলা লালপুরে শেখ হাসিনা গিয়েছিলেন আমি সেখানে তাঁর জনসভায় ছবি তুলেছিলাম, এই ঘটনাটি ৯০ দশকের ঘটনা ।
আমি দুইটা বই করেছি “চিরঞ্জীব মুজিব” অন্যটি “বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মহানায়ক”।বই দুটিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন।সেই বই দুটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছে দিয়েছিলাম, পরে শুনেছি তিনি ব‌ই দুটির প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও মেঘনা গ্রুপের পাওয়ার স্টেশন উদ্বোধন করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।সেখানে অনেক ফটোসাংবাদিকের মধ্যে তিনি আমাকে পছন্দ করেছিলেন। ফলে আমি সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম, তিনি ভালো বলেছেন।

আমি ফটো সাংবাদিক লুৎফুর রহমানের একমাত্র ছেলে। আমি নিজেও একজন ফটো সাংবাদিক ।মাত্র ১৩বছর বয়স থেকে ক্যামেরা হাতে।আমি আমার মত করে, আমার চিন্তা চেতনায় নিজের পরিচিয় তুলে ধরি সবার সামনে। আলোকচিত্রী শিল্পী হিসেবে আমার পদচারণা প্রতিটা ক্ষেত্রে, এখনও ক্যামেরা ও আমি এক যোগসুত্র। এগিয়ে যাই প্রযুক্তির তালে তালে।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসমা জেরিন ঝুমুর চাচা মরহুম আলহাজ আখতার সরদারের মৃত্যুর পর শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন উপস্থিত ছিলেন। ঘরের দেওয়ালে টানানো জাতির পিতার ছবিগুলো তিনি আগ্রহ সহকারে মুগ্ধ নয়নে দেখেছিলেন, ছবিগুলো আলোকচিত্রী লুৎফর রহমানের হাতে তোলা, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম এই কথা নিজ কানে শোনা সত্যিই সৌভাগ্য। সেই দিন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনেক ছবি তুলেছিলাম।
বঙ্গবন্ধুর ছবি ফ্লিম আর্কাইভের মহাপরিলকের হাতে তুলে দেই সংরক্ষণের জন্য।এই ছবিগুলো দেশের সম্পদ। প্রতিষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধুর ২০০ ছবি নিয়ে অ্যালবাম করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করানো হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানতে পারেন, এই ছবিগুলো আমার বাবা লুৎফর রহমানের তোলা, তিনি প্রশংসা করেছিলেন এবং আব্বাকে পুরস্কৃত করেছিলেন।
বাংলাদেশের ৫ টাকা এবং দশ টাকার নোটে আমার বাবা লুৎফুর রহমানের তোলা বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থান পায়, তুলে প্রশংসিত হন, পুরস্কৃত হন এবং তাঁকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। আমি তাঁর সন্তান যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ছবি তোলার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করব।
২০১৪ সালের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বেতারের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগদান করলে সেখানে তাঁর ছবি তোলার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। শ্রম দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনে ছিলেন, সেখানে তাঁর ছবি তোলার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই ছবিগুলো নিয়ে পরবর্তীতে ব্রসিউর বের হয়েছিল।এমনই অসংখ্য ছবি, দেশি-বিদেশের নামিদামি মানুষের তুলে যাচ্ছি যা লিখে অল্প কথায় বোঝানো যাবে না।
বৈজ্ঞানিক ড.ওয়াজেদ মিয়া আমাক আদর করতেন।তার সঙ্গে আমার সখ্যতা ছিল। অনেক ছবি তোলার সৌভাগ্য হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে জনগণ পেপার, পত্রিকায়, টিভিতে দেখে; খুব কম মানুষই তাঁর কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়েছে। আমি সৌভাগ্যবান একজন, তাঁকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি।
এই প্রাণপ্রিয় মানুষের জন্মদিন শুভ হোক, আগামী নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে।এতে সাংবাদিকদের আরো কিছু কাজ করার সুযোগ হবে ।
এই ক্ষণজন্মার তাঁর নিরোগ ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু
ফটো সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
  • © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট